জীবন এখন.....হিজিবিজি

আরো একটা দিন পরাজয়ের সাথে ফিরি বাড়ি

আবার সেই একই ভাবনা, কেন করি চাকরি,

যদি দিনের শেষে ব্যর্থতাই গ্রাস করে খায়?

 কি এমন আছে এতে, যে করতেই হবে?

 না করলেই বা কি?

তবু বাবা মা চায়, তাই করে যাই...

আবার একটা দিনের শেষে, স্বর্ণালী

বসে থাকি তোমার ফোনের অপেক্ষায়,

হারানো ৫৫ মিনিটের বদলে 

যদি ১০ টা মিনিটও দাও

সেটাই বা কম কিসে,

সেটাতেও ভালোবেসে ফেলা যায়!

যতই করি ঝগড়া,

ভালোবাসি বলেই তো করি

যেভাবে চাকরিকে ঘৃণা করি, 

তবু পরের দিন আবার হাসি মুখে

 নতুন ভাবে শুরু করার চেষ্টা করি

তুমি বলতে পারো আমার সন্দেহের স্বভাব

তুমি বলতে পারো আমি মানুষটাও খারাপ

তোমার কথাটা তো আর উড়িয়ে দেওয়া যায়না,

কারণ সন্দেহ আমি নিজেকেও করি

তবু স্বপ্ন দেখি আজও আকাশ ছোঁয়ার

স্বপ্ন দেখি তোমায় আমায় নিয়ে 

স্বপ্ন দেখি cinema বানাবার

স্বপ্ন দেখি তর তর করে গিয়ে,

স্টেজে উঠে গাইছি কোনো গান

হাজার লোকে হাততালি দেয় তাতে,

শুনেছি স্বপ্ন নাকি শেষ হয়ে যায় রাতে

শুনেছি স্বপ্ন নাকি ব্যর্থ হতে পারে!

তবে তুমিও কি ছেড়ে যাচ্ছ তবে আমায়,

যেভাবে স্বপ্নেরা চলে যাচ্ছে বহুদূরে

নাকি আর কিছুকাল থাকবে আমার পাশে

নিয়ে স্বপ্নে ভরা হৃদয়, ভবঘুরে?

- Madly Arnab

#BengaliPoem #Kobita #LifeNow

মা ...

মা আমি যাবো নামতা পড়ে
সকাল থেকে সন্ধ্যে বেলায়
তুমি আমার আশে-পাশে,
আমি তোমার কোলটি জুরে থাকবো ঘেষে
 মা, আগে কেন এতো বকতে সে তো বুঝতে পারিনি
আজ যখন সময় গেছে পেরিয়ে, শোনায় বিদায়-ধ্বনি
ও মা ! শুনতে কি পাশ তুই তোর্ ছেলের কান্না,  ও মা!
শুনতে কি পাশ তুই তোর্ ছেলের কান্না,  ও মা?

তবে একটা কথা মা
শোনো  না মা!
আমার এই কান্না,
তুমি বকবে মারবে বলে আমি আর কাঁদছি না
সেদিনের দেয়া শাস্তিতে অভিমানী ঠোঁট
আজ হয়েও স্বাধীন আমি করছি ছট-ফট
ও মা ! শুনতে কি পাশ তুই তোর্ ছেলের কান্না,  ও মা!

মা তুমি মারবে বলে,
মারবে বলে ভাগতে গিয়ে, পরে গিয়ে
ঠোঁট ফাটিয়ে কেঁদেছি কতো
তুমি জানোনা  মা
আরও কিছু কথা আছে,
 বলা হয়নি মা
biscuit-এর কৌটো ছিলো আমার deewana
যদি সকালে এক প্যাকেট আনা হতো,
দুপুরের মধ্যেই ফুরিয়ে যেতো,
তবে বিশ্বাস করো  মা
আমি আজকাল,
আগের মতো বিসকুট-ই খাই না 
বড়ো হয়ে গেছে তোর  ছেলে
বড়ো  বড়ো  চাহিদার মেলে,
বড়ো  হয়ে গেছে তোর ছেলে,
তোর  ছেলে মা !

(আজও মনে পরে যায়)

বাংলা পড়তে বসলে করতাম ঘুম অনুভব,
বসে থাকতে পাশে কাজ ফেলে রেখে সব
হঠাত পিঠে  আওয়াজ হতো,
ধুপ-ধাপ-ধুম !
পরক্ষনেই উড়ে যেতো,
আমার চোখের ঘুম।

আর আছে ইতিহাস,
রাজা-রানী-কৃতদাস,
তোমার কৃপায় মা
করেছি তাতেও পাশ।

ডিগবাজি খেয়েছি মিথ্যে বলিনা
আগে তো জানতাম পাশ-ই করবো না
হঠাত স্বপ্ন যদি সত্যি হয়ে যায়
এমন  অবস্থায় কে না নেচে যায়
মনের মাঝে বাজে orchestra
সেই অর্কেস্ট্রায় মাতাই আমি .... মাতাই আমি ।।

কতো  বকেছো মা,
আমি কেঁদেছি মা,
তুমি কেঁদেছো মা
ছেলে মানুষ হলো না !

আর, তখন হয়তো  ভেবেছিলে অপয়াটা-কে
বাড়ি থেকে ভাগালে, শান্তি আসবে
আজ বছর গেছে পাঁচেক পেরিয়ে
আছো হয়ত শান্তি তে মা...
তাই না মা ?

আর আমি এদিকে অশ্রুজলে,
ভেজাই আমার চোখ - গালগুলো কে
এ গালেই চুমু খেয়ে পাঁচ-ফিট-চার,
এসবেই জরিয়ে ভাবনা আমার।
ও মা ! শুনতে কি পাশ তুই তোর্ ছেলের কান্না,  ও মা!
শুনতে কি পাশ তুই তোর্ ছেলের কান্না
মা,
শুনতে কি পাশ তুই .....ছেলের কান্না!

আর পলিটিক্স নয়...

বাবা বলেছে
একটা কবিতা লিখতে
পলিটিক্স নিয়ে ঘাটা ঘাটি না করতে
বলেছে, তুই তো ভালই কবিতা লিখতিস,
লিখতে পারবি, সাতে স্বপ্নেও ভাবিনি! 
একই কথা শোনা যায় মুখে মেজদার,
বলছে এবার থেকে...খবরদার
যদি আর কোনোদিন দেখি পলিটিক্স
নিয়ে পোস্ট বা মিম শেয়ার করেছিস
বুঝতে চেষ্টা কর পরিস্থিতিটা,
বুঝতে চেষ্টা কর একবার!
বউটাও সাথে তালমেলায়,
বলে, তোমার নামে একি শুনছি!
তুমি নাকি পলিটিক্স নিয়ে হেনাতেনা
করে যাচ্ছ পোস্ট বাবু সোনা?
এদিকে বাবা যায় রেগে
মা যায় ক্ষেপে,
দাড়াও তোমায় দেখে নেবার দিন গুনছি।

তাই এই কবিতাটা আমার মতই
নিরীহ, গোবেচারা
আর এই কবিতাতে
পলিটিক্স, মলিটিকস, দলিটিকস,
কেউ থাকছেনা তারা
আর এই কবিতাটা আমার মতই
নির্বাক, দিশেহারা
গণতন্ত্র, ফন্ত্র, মন্ত্র,
ছুটি নিচ্ছে যেন আজ তারা।।

বিজেপি আর তৃণমূলের উষ্ণকীতে নতুন ভাবে, বিজফুটিত প্রাণনাশ!

                                 

যেখানে উগ্রপন্থীপ্রথা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছিলো একটা সময়, সেখানেই ভোটের লোভে, বিষ ঢেলে জাঁকিয়ে দেওয়া হচ্ছে আক্রোশের মূলমন্ত্র!তুমি পড়ছো,তুমি বলছো, "কি! এটা কি করে সম্ভব?"ডুবে যাওয়া একটা শহরের, একটা রাজ্যের,ইন্টারনেট পরিষেবা বিগত তিন দিন যাবৎ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ!আজ আমার শহরে ঘটছেকাল তোমার শহরেও হইবেআর কতদিন বলো লোকেরামুখবুঝে সব সইবে?তোমার অজ্ঞাত হতে পারে,তবে জগতের সেটা নয়,আমি বলছি কারণ বিশ্বাস করি,এটাই জেগে ওঠার সময়!

চশমাটা শুধু কান্না ঢাকতে পারে

চশমাটা শুধু কান্না ঢাকতে পারে
মনের কান্না তুমিও শুনতে পাওনি 
চশমা দিয়েই লুকিয়ে রাখছি কান্না
মনে মনে ভাবি আজও হারিয়ে যাওনি

কতো মানুষ কতো মানুষ থেকে দূরে
যাচ্ছে ক্রমশ আজ সরে,
কতো মানুষ, আজই হারিয়ে যাবো ভেবেও
ফেরত আসছে দিনের শেষে নিজে ঘরে।

মানুষ কতো বেইমান হলে পরে
ছেড়ে যাবনা, ছেড়ে যাবনা করেও চলে যায়
কতো হাত কতো হাত আঁকরে রাখে
তবু হাতটা কি আর আঁকরে রাখা যায়?

চশমাটা সেই দুঃখ ভোলাতে পারে, 
যদিও মনের দুঃখ কেউই শুনতে পায়নি
চশমা দিয়ে লুকিয়ে রাখা চোঁখ দুটো
ওরা আজ ছল-ছল কিনা কেউ জানতে চায়নি।।

একটা কবিতা, গান হতে চায় বলে

একটা কবিতা, গান হতে চায় বলে
খাতার পাতায় চুপিচুপি আসে চলে
একটা গান সুর পেতে চায়
একটা গানই বারবার ভাবায়
একটা গিটার ভীষণ খিটখিটে,
তার আছে কেন tunning নেই তার ?
ব্যাগের ভেতর থাকে,
কেউ বাজায়না আর তাকে
এসব কথাই ভাবে
আর অভিমান দেখায়!

একটা কলমের ছটফট করা মন
কালির দোয়াত খোঁজে সারাক্ষণ
আর একটা খাতার পাতা,
হোক সে নোংরা কিংবা সাদা
সবার মনের কথা
ঠিকই বুঝে নেয়

বাঁশি কত রকম,
আজ তাদের কাহিনী বাসি
congo drum এর রঙ্গ দেখতে,
 চাইছেনা দেশবাসী
একটা mouth organ ছিল,
কবে বাক্সবন্দী হলো,
কেউ জানলো তার কথা,
তাই একমনে কেঁদে যায়!

সময়, সময়, করে
সবাই, ঘুরছে সময়ের দুয়ারে
সময় বলছে থাম,
আমি করছি আজ আরাম
ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে বুঝি
নিজের কত দাম

হয়তো সময় আসবে আবার,
ওরাও ফিরে আসবে
মান, অভিমান, ঝগড়া-ঝাটি
ভুলে গিয়ে ভালোবাসবে, আমায়
তখন আবার হবে সুর,
 আবার হবে গান,
ভবিষ্যৎ যতই দূর থাকনা,
 শোনা যায় কলতান

একটা গিটারের মনটা ভালো আজ
সুর ভুলে গিয়ে বে-সুর বাজতে চায়
একটা কবিতা গান হতে চায় বলে
 খাতার পাতায় ছন্দ মিলিয়ে চলে
আর একটা গান
সেই একটা গান
আর একটা গান সুর পাবার আশায়,
 মনে মনেই . . . গুনগুনিয়ে যায়


- ম্যাডলি

আমি আবছা হয়েও থাকবো তোমারই

আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই
পাল্টে যেতে পারে জীবনটা আবার
  খুজেঁ পেতে পারে এই ব্যর্থ মন,
 তার হারানো বন্ধু - আমার গিটার!
 হয়তো তখন প্রতি রাত্রের মতো
 তোমাকে নিয়ে ভেবে ক্ষতবিক্ষত
স্মৃতিগুলো এসে বার বার করে দেবে না
চোঁখ দুটো ঘোলাটে আমার!
তখন হয়তো ঘরটাও কথা বলবে
খ্যার-খ্যারে গলাটাও গান বেঁধে চলবে
বে-সুরের উপর দিয়ে সুর খেলা করবে,
সা-রে গা-মা পা    -     শ-ত-রূপা!
তোমাকে, তখন আর বিরক্ত করবো না
বেহায়ার মতো, বার বার ফোনটাও করবো না
তুমি স্বেচ্ছায় খুঁজে নিতে পারো জাহান্নাম,
চোঁখে জলটা এলেও জানতে দেবো না...
অনেক বড় হয়ে গেছো, এখন কুড়ি
কোনটা ভালো - খারাপ বোঝাটা জরুরি,
হয়তো জীবন চলার পথে কষ্টও পেতে পারো,
মনে রেখো আবছা হয়েও থাকছি তোমারই ☺
সময় মতো, হাতটা বাড়িয়ে দিতেই পারো তুমি
মনে পড়লে, কলটা করে নিতেই পারো তুমি
ইচ্ছে মতো এড়িয়ে যেতে পারছো আজকে তুমি
তবু আমি আবছা হয়েও থাকবো . . . . . তোমারই!


- ম্যাডলি
 ২০১৭ ইং

কোথায় গেল দিনগুলো সব ?

আর কিছুদিন...
হ্যা, আর কিছুদিন পর হয়তো ভুলেই যাবো, যে একসময় আমিও কবিতা লিখতাম, গান লিখতাম, গাইতে পারিনা যদিও, তবু গাওয়ার চেষ্টা করতাম!
ওহ! আর গিটার?

ব্যাগে ধুলো, গিটারে ধুলো,
পদ্য-পাতা কোথায় গেলো ?
শখ হয়েছিল বড্ড বলেই,
ছদ্মবেশী শব্দ গুলো
কামড়ে দিতো মাথায় যখন,
 তৈরি হতো কাব্য-কথন।
এই কাব্য সেই কাব্য
কত কাব্যই না লিখেছি
 ইনিয়ে বিনিয়ে মনের কথা
একঘেঁয়ে, অযথা,
যা পারি বলে দিয়েছি।
খাতার পাতা, পাতার কথা,
কথার মর্ম, কথার ধর্ম,
যেন কোথায় হারিয়ে যায়!
কেও করেনি প্রশ্ন ওদের,
কেউ জানেও না নিখোঁজ,
বলো কে কার রাখে খবর আজ
এই ব্যস্ত দুনিয়ায়?
আর তাই চিরসঙ্গী কলম গুলোও
 প্যাকেট বন্দি আজ
নিপে ওদের জং ধরেছে
বেকারত্বের রাজ! :/

মাঝে মধ্যে সময় পেলে,
ভাবনা যখন পাখনা মেলে,
গভির ভাবে আমিও ভাবি
পুরোনো সব দিনের কথা
কোথায় গেল দিনগুলো সব,
কোথায় সেসব কাব্য কথা,
কোথায় গেল সে সব সুর?
হয়তো আছে  ইতিহাসে
মিটিমিটি আজও হাসে
ভাবনার ওপারে বা
হয়তো, অনেক দূর! :)

- ম্যাড‍্লি